আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ
কর্তৃক প্রকাশিত
আচরণবিধি
আল-কায়েদা উপমহাদেশ.
এর থেকে
পর্ব- ০১
==================================================
===============================
কর্তৃক প্রকাশিত
আচরণবিধি
আল-কায়েদা উপমহাদেশ.
এর থেকে
পর্ব- ০১
==================================================
===============================
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূল, তাঁর পরিবার, তার সাহাবাগণ, তাঁর বংশধর এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাঁর অনুসরণ করবে তাঁদের উপর।
প্রথম কথা
জুলম, ফাসাদ এবং ফিতনার যে আঁধার রাত্রি সবদিক থেকে ছেয়ে আছে, তার সমাপ্তি আল্লাহ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর মাঝে রেখেছেন। এই জিহাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরয এবং বর্তমান সময়ের চাহিদাও। আবার এটাও পরিষ্কার যে, জিহাদের একটি লক্ষ্য কুফরের শক্তিকে চূর্ণবিচূর্ণ করা এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠা; সাথে সাথে অন্য একটি গরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল মুসলমানদের পথপ্রদর্শন, রক্ষা এবং তাঁদের কল্যাণকামিতা। এই দুইটি লক্ষ্য শরীয়তের দৃষ্টিতে জরুরী এবং একটি আরেকটির উপর নির্ভরশীল: কোন একটি লক্ষ্য অর্জনে ত্রুটিবিচ্যুতি রেখে অন্য লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে আজ এই ভূখণ্ডে এমন জিহাদি আন্দোলন আগের থেকে আরও বেশি প্রয়োজন, যা উল্লেখিত দুইটি লক্ষ্যকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে অগ্রসর হবে।
এমন আন্দোলন নিঃসন্দেহে উপমহাদেশের মুসলানদের জন্য ইনশাআল্লাহ। সুতরাং, সব মুজাহিদ এবং মুজাহিদ এবং জিহাদী জামা’আতের শরয়ী ফরয এটাই যে, তারা নিজেদের সব কার্যক্রম এই দুই লক্ষ্যের চারপাশে আবর্তিত রাখে।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য জিহাদের কর্মপদ্ধতি কি হওয়া উচিত? জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের এই ‘আচরণবিধি’ এই কর্মপদ্ধতিকে পরিষ্কার করার এক প্রচেষ্টা। আমরা এখানে এটা উল্লেখ করা জরুরী মনে করছি যে, জিহাদ একটি সম্মিলিত ইবাদত এবং এতে কোন একজন মানুষ বা জামা’আতের কার্যক্রম বিশেষভাবে শুধু ঐ মানুষ বা জামা’আতের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং এটি ময়দানে থাকা সমস্ত মুজাহিদ এবং পুরো উম্মতকে প্রভাবিত করে। এজন্য আমরা যেমন জামা’আতের সাথে সম্পর্কিত কোন মুজাহিদকে এই আচরণবিধির পুরোপুরি অনুসারী বানায়, তেমনিভাবে ভ্রাতৃস্থানীয় অন্য জামা’আতগুলোর কাছেও আমাদের আবেদন, তাঁরা যেন সবাই মিলে জিহাদের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য নিজেদের শরয়ী দায়িত্ব আদায় করে, যাতে এই বরকতময় কাজে আমরা একজন আরেকজনের সহযোগী হয়ে যাই এবং সকলে মিলে এমন সব বিষয়গুলোকে বন্ধ করতে পারি যা এই পুরো ভূখণ্ডে জিহাদি আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকারক। যদি আমরা সততার সাথে এই সম্মিলিত দায়িত্ব পূরণ করি, তাহলে নিঃসন্দেহে আমাদের এই জিহাদি সফর আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উপযুক্ত হবে এবং এই ভূখণ্ডে নির্যাতিত উম্মতের নুসরত, মুসলমানদের হেদায়েত এবং কুফরি শাসনব্যবস্থার উচ্ছেদের কারণ হবে ইনশাআল্লাহ।
ভূমিকা
‘জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ’ ‘জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ’ (যা আল-কায়েদা নামে পরিচিত) এর একটি শাখা, যা হিজরি 1435সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে বেশির ভাগ ঐসব মাজমুয়া জামা’আতের সাথে সংযুক্ত হয়েছে, যেগুলো বহুদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদের অধীনে জিহাদরত ছিল। এই জামা’আত কেন্দ্রীয় জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদের আমিরের আনুগত্যের অধীন। এর পরিসর বার্মাসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সম্পূর্ণ ভূখণ্ড যার মাঝে বিশেষভাবে তিনটি বড় দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই জামা’আত ‘জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ’ এর সাধারণ দিক-নির্দেশিকা মোতাবেক জিহাদ করছে। আল্লাহ তা’আলার তৌফিক মোতাবেক এখন জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ’ এর বিস্তারিত আচরণবিধি প্রকাশ করা হচ্ছে।
জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ এর আমীর শায়খ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ এর পক্ষ থেকে কার্যকর জিহাদের সাধারণ দিক নির্দেশিকা’ (توجيهات عامة للعمل الجهادي) কে মূল ভিত্তি রেখে এই আচরণবিধি প্রস্তুত করা হয়েছে। একইভাবে, অন্যান্য জিহাদি আলেমদের ফাতওয়া এবং অর্ধ শতাব্দীর চেয়েও বেশি জিহাদের অভিজ্ঞতা থেকেও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এই ডকুমেন্টে কোথাও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। জামা’আতের শুরা সদস্যদের সম্মতিক্রম, এই পরিবর্তন জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের আমির করতে পারবেন। জামা’আতের সাথে সংযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি – হোক সে কোন সাধারণ মুজাহিদ অথবা কোন দায়িত্বশীল – এই আচরণবিধি অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য থাকবে। এর বিপরীতে, কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলে তাতে জামা’আতের আমীর ও শুরা সদস্যগণ কৈফিয়ত চাওয়া বা হিসাব নেওয়ার অধিকার রাখবেন।
আচরণবিধিতে ব্যবহৃত পরিভাষার ব্যাখ্যা
জামা’আতঃ এই পরিভাষা থেকে এখানে উদ্দেশ্য জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ, যা সংক্ষেপে ‘আল-কায়েদা উপমহাদেশ’ নামে বলা হয়ে থাকে। যেখানে জামা’আতের সাথে আমির, নায়েবে আমির এবং শুরা সদস্য ব্যবহৃত হয়েছে, সেখানে জামা’আত কাযেদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের আমির, নায়েবে আমির এবং শুরা উদ্দেশ্য।
শরীয়াহ বিভাগঃ এ থেকে উদ্দেশ্য জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশের ঐ বিভাগ, যা উলামায়ে কেরামদের নিয়ে গঠিত এবং যার দায়িত্ব শরীয়ী বিষয়ের দিক নির্দেশনা।
আচরণবিধির উদ্দেশ্য
এই আচরণবিধির প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলোঃ
• জামা’আতের সাথে সংযুক্ত মুজাহিদরেদকে জিহাদি আমলের গণ্ডী দেওয়া এবং এমন কিছুকে টার্গেট বানানো থেকে তাঁদেরকে দূরে রাখা যা শরীয়তে জায়েজ হতে পারে কিন্তু জিহাদি আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর অথবা অলাভজনক।
• জিহাদের ময়দানে থাকা সমস্ত মুজাহিদদের টার্গেট বাছাইকরণ এবং পদ্ধতির ঐক্যসাধণের জন্য খোলাখুলি আহবান জানানো।
• সাধারণ মুসলমানদেরকে নিজেদের উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি অবহিত করে তাঁদেরকে জিহাদের দাওয়াত দেওয়া।
আরও পড়ুন
২য় পর্ব
Comment